বাজারে সার সংকট ও দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাবনায় দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষকেরা।

আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাবনার চরতারাপুরের কৃষকরা তাদের জমির সামনে কৃষি সরঞ্জাম রেখে এই কর্মসূচি পালন করেন।

কৃষকদের অভিযোগ, পেঁয়াজ ও শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ডিএপি, টিএসপি এবং এমওপি সারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দাম নিচ্ছে।

কৃষকরা যখন আগাম পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই সারের দাম প্রতি বস্তায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

কৃষকরা জানান, ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা ডিএপি সার এখন ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিএডিসির এক বস্তা ডিএপি সার ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫০০ টাকায়, এমওপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় এবং টিএসপি ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চরতারাপুর গ্রামের কৃষক মো. বাপ্পী বলেন, 'তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করার জন্য জমি প্রস্তুত করতে গিয়ে সারের দাম নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।'

বেশি দামের কারণে এ বছর জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।

কৃষক মো. তারিকুল ইসলাম জানান, 'অতিরিক্ত দামের কারণে প্রতি বিঘা জমি প্রস্তুত করতে আমাদের অতিরিক্ত দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এভাবে যদি প্রস্তুতি খরচ বাড়ে, তাহলে পুরো উৎপাদন খরচই বেড়ে যাবে।'

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে যখন 'কন্দ' বা মূলকাটা পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়, তখন এসব সারের চাহিদা বাড়ে।

​পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান জানান, এ বছর ১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

​সারের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, এমন অভিযোগ এলে তারা ব্যবস্থা নেন।

তিনি বলেন, 'পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সারের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যখনই আমরা মূল্যবৃদ্ধির তথ্য পাই, তখনই অভিযান পরিচালনা করা হয়।'