ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ে নতুন শান্তি পরিকল্পনা প্রসঙ্গে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানোর সময় একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি মনে করেন শিগগিরই গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব?
উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন ২১ দফা শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। যদিও পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে মার্কিন ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এর কয়েকটি মূল প্রস্তাব উঠে এসেছে।
ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথরেখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া সাম্প্রতিক ভাষণে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র গঠনের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, গাজা থেকে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর স্থানান্তর নয় বরং ফিলিস্তিনিদের সেখানেই থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে হামাসকে নিরস্ত্র করা, গাজার পূর্ণ সামরিকীকরণহীন অবস্থা নিশ্চিত করা এবং জনসংখ্যার মধ্যে ‘ডি-র্যাডিকালাইজেশন’ বা চরমপন্থা হ্রাসের প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনা সফল করতে হলে ইসরায়েলি সরকার ও হামাস উভয়কেই এখন পর্যন্ত দেওয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে অনেক বেশি ছাড় দিতে হবে। সোমবারের বৈঠকে এই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে গভীর আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য সত্ত্বেও, গাজার চলমান বাস্তবতা ও দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা তার এই আশাবাদকে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এমজে
মন্তব্য
আপনার মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য
সাকিব আহমেদ
২ দিন আগেখুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঠিক প্রতিফলন দেখা গেছে। ধন্যবাদ!