আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় নাসা গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলছে, শ্রমিকের ভেতরে থাকা নাশকতাকারী, দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসপি বলেন, '৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল হোতা টিপু সুলতান আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি শ্রমিকদের স্বার্থের জন্য নয়, উত্তেজনা, নাশকতা ও শিল্প এলাকায় ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর জন্যই শ্রমিকদের মধ্যে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিলেন।'
'বাকি ৬ জনও একইভাবে নাশকতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে,' বলেন তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, টিপু সুলতান নাসা গ্রুপের একটি কারখানার লাইন চিফ হিসেবে কাজ করতেন। শ্রমিক আন্দোলন সংগঠিত করতে প্রধান ভূমিকা রাখতেন তিনি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, 'নাসা গ্রুপের ১৬টি প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এত বড় একটি কর্মসংস্থান কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বন্ধ হয়ে গেল। সরকারের উচিৎ ছিল প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে কারখানা সচল রাখা। তাহলে শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তেন না। শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, গতকাল বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নাসা গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা। পরে পুলিশ জলকামান ছিটিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। সম্প্রতি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা একযোগে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য
আপনার মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য
সাকিব আহমেদ
২ দিন আগেখুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঠিক প্রতিফলন দেখা গেছে। ধন্যবাদ!