ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের তিন সন্তানের নামে থাইল্যান্ডে নিবন্ধিত ৭ প্রতিষ্ঠানে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ বাথ মূল্যের বিনিয়োগ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা একতারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও পারভীন হক সিকদারের নামে ওই বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে দুদক জানায়।

নথি অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে তাদের নামে ৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করা হয়। সেগুলো হলো—কই রেস্টুরেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, সিকদার গ্রুপ লিমিটেড, সিকদার হোল্ডিংস লিমিটেড, আর অ্যান্ড আর রেস্টুরেন্ট গ্রুপ লিমিটেড, জিরানা কোম্পানি লিমিটেড, জেআর আর্কিটেক্টস ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড এবং সিকদার অ্যান্ড গ্যারেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংককের ব্যাং রাক, ভাধানা, খলোং তোই এবং পাথুম ওয়ান জেলায় অবস্থিয়।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জয়নুল হক সিকদারের পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, গোপনে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ ঋণ প্রদান এবং অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত।

'সিকদার গ্রুপ সম্পর্কিত অভিযোগের তদন্ত শেষ করার জন্য ৭ সদস্যের একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,' বলা হয় আবেদনে।

এতে আরও বলা হয়, 'তদন্ত চলাকালে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে যে, অভিযুক্তরা তাদের অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছে। যদি তারা সম্পদ হস্তান্তর করে ফেলে তাহলে তদন্ত মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে।'

'সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা অবশ্য প্রয়োজনীয়,' যোগ করা হয় আবেদনে।